প্রকাশিত: ২২/১১/২০১৪ ১০:০৩ অপরাহ্ণ

images
নিজস্ব প্রতিবেদক : মানি লন্ডারিং আইনের পরিধি বাড়ছে। এ লক্ষ্যে অভিবাসন কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে মানব পাচারকে (স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্ট) মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ আইনে দণ্ডিত ব্যক্তিকে চার থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এ বিষয়ে আগামীকাল রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা এবং নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আইনে মানব পাচারের মতো কর্মকাণ্ডকে সম্পৃক্ত অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। ইদানীং মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজের উদ্দেশ্যে মানব পাচারের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকারের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, মানি লন্ডারিং বা মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২-তে সম্পৃক্ত অপরাধের তালিকায় ২৮টি অপরাধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘উল্লিখিত অপরাধ, যা দেশে বা দেশের বাইরে সংঘটনের মাধ্যমে অর্জিত কোন অর্থ বা সম্পদ লন্ডারিং করা বা করবার চেষ্টা করা হয়। এ অপরাধের মধ্যে রয়েছে- দুর্নীতি ও ঘুষ, মুদ্রা জালকরণ, দলিল দস্তাবেজ জালকরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, জালিয়াতি, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা, অবৈধ মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা, চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা, অপহরণ, অবৈধভাবে আটকিয়ে রাখা ও পণবন্দি করা, খুন, মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি, নারী ও শিশু পাচার, চোরাকারবার, দেশি ও বিদেশি মুদ্রা পাচার, চুরি বা ডাকাতি বা দস্যুতা বা জলদস্যুতা বা বিমান দস্যুতা, মানব পাচার, যৌতুক, চোরাচালানি, শুল্ক ও করসংক্রান্ত অপরাধ।’

সম্পৃক্ত অপরাধের মধ্যে আরো রয়েছে- ‘মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থ যোগান, ভেজাল বা স্বত্ব লঙ্ঘন করে পণ্য উৎপাদন, পরিবেশগত অপরাধ, যৌন নিপীড়ন, পুঁজিবাজার সম্পর্কিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হবার পূর্বে তা কাজে লাগিয়ে শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে বাজার সুবিধা গ্রহণ, ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার লক্ষ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা, সংঘবদ্ধ অপরাধ বা সংঘবদ্ধ অপরাধী দলে অংশগ্রহণ, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ আদায় এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সরকারের অনুমোদনক্রমে গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষিত অন্য যে কোন সম্পৃক্ত অপরাধ।’

এখন এই আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ হিসেবে ‘স্মাগলিং অব মাইগ্রেন্ট’ (অভিবাসনের উদ্দেশ্য মানব পাচার) অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে করে অভিবাসনের উদ্দেশ্য মানাব পাচারকারীদের এই আইনে গ্রেফতার, বিচার ও দণ্ড দেওয়া সম্ভব হবে।

এই আইনে দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি মানি লন্ডারিং অপরাধ করলে বা মানি লন্ডারিং অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা, সহায়তা বা ষড়যন্ত্র করলে তিনি অন্যূন চার বছর এবং অনধিক ১২ (বার) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর অতিরিক্ত অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ মূল্যের সমপরিমাণ বা ১০ (দশ) লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

‘আদালত কোন অর্থদণ্ড বা দণ্ডের অতিরিক্ত হিসাবে দণ্ডিত ব্যক্তির সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিতে পারবেন, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানি লন্ডারিং বা কোন সম্পৃক্ত অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত বা সংশ্লিষ্ট।’

দণ্ড সম্পর্কে আইনে আরো বলা হয়েছে, ‘এই ধারার অধীন কোন ব্যক্তি মানি লন্ডারিং অপরাধ করলে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্যের অন্যূন দ্বিগুণ অথবা ২০ (বিশ) লাখ টাকা, যা অধিক হয়, জরিমানা করা যাবে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিলযোগ্য হইবে।

পাঠকের মতামত

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

সফরে বিনোদনের পাশাপাশি জীব-বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে উখিয়া কলেজ শিক্ষার্থীরা

পলাশ বড়ুয়া:: উখিয়া কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর-২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে আজ। নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে প্রায় ...
রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত 

পলাশ বড়ুয়া:: কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ভাষা দিবসের কর্মসূচিতে রোহিঙ্গা ...